চরবানিয়ারীইউনিয়নের ইতিহাস
বাংলাদেশের গ্রামসমূহের নামকরণের ইতহাস বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, বিভিন্ন গাছের নামে, মাছের নামে, বিশেষ ব্যক্তির নামে গ্রাম, শহর, বাজার, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, বিভাগের নামকরণ হয়ে থাকে। বাংলাদেশে সেই অনাদি কাল থেকে মাছের ও গাছের প্রাচুর্যের প্রমাণ বহন করছে। চিতলমারী উপজেলার গ্রাম ও ইউনিয়নসমূহের নামকরণের এই ধারা ও ঐতিহ্য থেকে বিছিন্ন নয়। যেমন- চিতল মাছের নামে চিতলমারী, বোয়াল মাছের নামে বোয়ালিয়া এবং হিজল গাছের নামের হিজলা ইউনিয়ন বা গ্রামের নামকরণ করা হয়েছে। এককালে প্রচুর হিজল গাছ থাকার কারনে গ্রামের নাম হয় হিজলা। এই হিজলা গ্রামের সাথে আরো কয়েকটি গ্রামকে সংযুক্ত করে গঠন করা হয় হিজলা ইউনিয়ন।
১৯৭০ সালে ‘বেঙ্গল ভিলেজ চৌকিদারি অ্যাক্ট’ এর অধীনে কয়েকটি গ্রাম নিয়ে এককেকটি ইউনিয়ন গঠিত হয়। ১৭৭৫ সালে ‘লোকাল সেলফ গভর্নমেন্ট এ্যাক্টে’র অধীনে প্রতি জেলায় একটি করে জেলা বোর্ড এবং কয়েকটি গ্রাম নিয়ে একেকটি ইউনিয়ন কমিটি গঠিত হয়। ১৯১৯ সালে ‘বেঙ্গল ভিলেজ সেলফ গভর্নমেন্ট এ্যাক্ট’ অনুযায়ী ইউনিয়ন কমিটি ইউনিয়ন বোর্ড নাম দেয়া হয়। ১৯৫৯ সালে আইয়ূব খান এক আদেশে ইউনিয়ন বোর্ডকে ইউনিয়ন কাউন্সিল নাম দেন। ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির ৭নং আদেশে ইউনিয়ন বোর্ডের নাম রাখা হয় ইউনিয়ন পঞ্চায়েত। পরে এ আদেশ বাতিল করে ১৯৭৩ সালে রাষ্ট্রপতির ২২নং আদেশ বলে ইউনিয়ন পঞ্চায়েতের বদলে ইউনিয়ন পরিষদ নাম রাখা হয়। এখন অবধি এটি বহাল আছে।
স্বাধীনতা-উত্তরকালে ইউনিয়ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়- ১৯৭৩, ১৯৭৭, ১৯৮৩, ১৯৮৮, ১৯৯২ ও ১৯৯৭ সালে। কালে কালে চিতলমারী উপজেলাধীন ইউনিয়ন বোর্ড, ইউনিয়ন কাউন্সিল ও ইউনিয়ন পরিষদের প্রেসিডেন্ট/ চেয়ারম্যান পদে এক বা একাধিকবার দায়িত্ব পালনকারীদের নামের তালিকাঃ
০১। শ্রীনাথ বাড়ৈ, চরবানিয়ারী
০২। গদাধর ঠেটা, ঠেটারচর
০৩। অশ্বিনী কুমার ঢালী, চরবানিয়রী
০৪। নগেন্দ্রনাথ বড়াল, চরবানিয়ারী
০৫। শচীন্দ্রনাথ সিংহ, চরবানিয়ারী
০৬। সুশীল কুমার মন্ডল, ব্রহ্মগাতী
০৭। নির্মল চন্দ্র রানা, খলিশাখালী
০৮। কৃষ্ণদাস রানা, খড়মখালী, রিলিফ চেয়ারম্যান
০৯। রমেশ চন্দ্র রায়, ডাকাতিয়া
১০। অশোক কুমার বড়াল, চরবানিয়ারী
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস